আনন্দ-উল্লাসে শেষ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা

প্রকাশঃ এপ্রিল ১৪, ২০১৫ সময়ঃ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

10174786_10202882334373093_6332387790940806815_n_50050বর্ষবরণ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষন মঙ্গল শোভাযাত্রা  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রঙ্গন থেকে শুরু হয়ে ঘন্টাব্যাপী প্রদক্ষিণ শেষে আবারো চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়েছে।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান ছিল- ‘অনেক আলো জ্বালতে হবে মনের অন্ধকারে।’

শোভাযাত্রায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ছাগল, তোতা পাখি, হাট্টিমা টিম টিম, কাকাতুয়া, মাছ, বাঘ, পায়রা, হাতিসহ ১১টি বড় কাঠামো ছিল।

সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে রয়েছে ছাগল ও দুটি ছানা। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক হিসেবে শোভাযাত্রায় রয়েছে প্রায় ২০ ফুট লম্বা একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত। যার আঙুলে একটি লাল রং। এই লাল রং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতীক। আর হাতটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে দেশের শান্তিকামী মানুষ।

বিশেষ কাঠামো হিসেবে রয়েছে, হাতের থাবা দিয়ে মানুষের গলা চেপে ধরে আছে এমন একটি প্রতীক, যা দিয়ে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাবলি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

অসংখ্য মুখোশ ও হরেক রকম পুতুলের পাশাপাশি এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় শিশুরা ঘুড়ি ওড়াচ্ছে, কাগজ দিয়ে তৈরি পাখি, পুতুল, চড়কা ধরে আছে কিংবা অপশক্তিকে বাম হাত দিয়েই মেরে ফেলা যায়, এমন বিষয়গুলো তুলে আনার চেষ্টা রয়েছে।

এ ছাড়া রয়েছে মুখোশের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা রাজা-রানী, উজির-নাজির, বাঘ, পেঁচা, টেপা পুতুলসহ নানা আকৃতি ও বর্ণের প্ল্যাকার্ড।

প্রতিক্ষণ/এডি/নুর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G